একটা ছেলে একটা মেয়ে

সঞ্জয় সরকার

একটা মেয়ে বাসে চড়ে
কোথায় যেন যাচ্ছিল
জানালাটার পাশ ধরে
চিনা বাদাম খাচ্ছিল

একটা ছেলে তাকে দেখে
ভীষণ মজা পাচ্ছিল
লাজুক রাঙা চোখে চোখে
কী যেন সে চাচ্ছিল

খানিক পর ছেলে-মেয়ে
দুজনাই যে হাসছিল
দুজনকি দুজনাকেই
ভাল-টাল বাসছিল?

ভেবে ভেবে এই মন
সারাক্ষণ কাঁপছিল
হৃদয়ে তখন খুব
প্রেসারের চাপছিল

হরতাল


সঞ্জয় সরকার
কাহারবা নয়, দাদ্রা নয়
নয় খেমটা তাল
এমন একটি তাল’-এর নাম
হরতাল! হরতাল!

এই তালে গান হয় না
হয় না কোনো নাচÑ
এই তালে ঝনঝনিয়ে
ভাঙ্গে গাড়ির কাঁচ

এই তালটির অপর নাম
জ্বালাও এবং পোড়াওÑ
হাতবোমা ও ককটেলে
লাল-রং টেপ মোড়াও

এই তালটির নাম দেয়া যায়
রাজনৈতিক ক্রোধ
ধরপাকড়, জঙ্গী মিছিল
রাস্তা অবরোধ

কিন্তু যারা আমজনতা
চায় না এমন তাল
তাদের চাওয়াÑ শান্তি-সুখে
কাটুক দেশ ও কাল

মা মাটি ভাষা

আনোয়ার হাসান
আমার ভাষা, বাঙলা ভাষা
বাঙলা আমার মা

ভাষা মায়ের প্রাণের সূধা
কোথাও পাবে না

জন্মধাত্রী মা জননী
গর্ভে দিলেন ঠাঁই
ভাষা মাতা জবান দিলেন
তুলনা তার নাই

মাতৃভাষা মাতৃভূমি
জন্মধাত্রী মা
তিন মা মিলে গড়ে তুলেন
আমার চেতনা। 

বাঁচার সার্থকতা

আনোয়ার হাসান
‌‌ওরে বাছা
‍‍‌Òআ‍‍‌‌‌‌পন প্রান বাঁচাÓ
এ নয় কোন কাজের কথা

আমরা যখন একই সাথে আছি
তবে একলা বাঁচার মহত্বটা কী ?
মানুষ হল অনেক ফুলের তোড়া
একটি ফুলে হয় নাকো তা গড়া

বাঁচতে হলে সবাই মিলে বাঁচ
তবেই বাঁচার পরম সার্থকতা

স্বাধীনতা

আনোয়ার হাসান
স্বাধীনতা স্বাধীনতা
সবাই বলে স্বাধীনতা
স্বাধীনতা কী মা ?

ওরে বোকা,স্বাধীনতা !
নিজেই নিজের অধীনতা
কেন বোঝ না

পাখি যেমন ডানা মেলে ওড়ে
নীলাকাশের বুকে
ফুলগুলি সব পাপড়ি মেল ধরে
অন্যরা সব গন্ধ নিয়ে শুকে

তেমন করে তুমিও যদি বাছা
মেলে ধরে মনের বন্দি খাঁচা
তুমিই হবে স্বাধীন যুবরাজ

একাত্তর যে শিশুটি জীবন দিয়ে গেলে
সেই তো স্বাধীন সার্বভৌম ছেলে
নইলে তুমি জীবন পেতে আজ?